চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষায় পজিটিভ এলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ভর্তির অযোগ্য হবেন। সম্প্রতি ভর্তি কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো হলেও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আরও নজরদারির পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদেরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত ২৮ এপ্রিল। কয়েক ধাপে ভর্তি পরীক্ষা চলবে আগামী এক মাস। এবার বিভিন্ন অনুষদে আলাদা আলাদা বিষয়ে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে।
রোববার ভর্তির জন্য মনোনীত সব শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সংক্রান্ত কমিটি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তত্ত্বাবধানে হবে এই ডোপ টেস্ট। প্রাথমিকভাবে প্রস্রাবের নমুনা থেকে ইয়াবা, হেরোইন, মরফিন, গাঁজা, কোকেন, অ্যালকোহল জাতীয় মাদকদ্রব্যের পরীক্ষা করা হবে।
অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা আশা করছি, যুব সমাজের মধ্যে যে মাদকাসক্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে সেটা কমিয়ে আনতে পারব।’
মাদকবিরোধী এই অবস্থানকে ইতিবাচক বলছেন শিক্ষাবিদেরা। ভর্তি পরীক্ষার বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরও নির্দিষ্ট সময় পর ডোপ টেস্টের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, ‘আশা করছি, বিশেষজ্ঞদের দ্বারা এ কর্মসূচি চালু এবং কন্টিনিউ করা গেলে অবশ্যই মাদকবিরোধী কার্যক্রমে আমরা আশানুরুপ ফলাফল পাব।’
এ বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষক ও শিক্ষাবিদ ড. শামসুদ্দীন শিশির বলেন, ‘অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ব্যাপারেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তাদেরকেও একটা নির্দিষ্ট সময় পর ডোপ টেস্টের আওতায় আনতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।’
তবে ডোপ টেস্টের ফলাফলের কারণে ভর্তি প্রক্রিয়া যেন দেরি না হয়, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাঠকের মতামত